ইলেকট্রনিক
ফরমে মিথ্যা,অশ্লীল বা
মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, কম্পিউটারের
মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ, সিস্টেমে হ্যাকিং
ও সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ – এই চারটি অপরাধকে
অজামিনযোগ্য উল্লেখ করে তথ্য
ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য
চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কাছে এ আইন
সন্তোষজনক গণ্য হওয়ায় শিগগিরই
আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করার
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ যদি কোনো
ব্যক্তি কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার
সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের
মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি
ছাড়া তার নথিতে থাকা
তথ্য বিনষ্ট করার বা
ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার
বা সংগ্রহ করার জন্য
ওই কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম
বা কম্পিউটার নেটওর্য়াকে প্রবেশ করেন বা
অন্য কোনো ব্যক্তিকে করতে
সহায়তা করেন তবে ওই
অপরাধ অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা
করা হবে।এছাড়া আরো যে সব অপরাধকে অজামিনযোগ্য উল্লেখ করা হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কমপিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক বা কোনো উপাত্ত বা উপাত্ত ভাণ্ডার থেকে উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করা হলে বা স্থানান্তর যোগ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় জমাকৃত তথ্য বা উপাত্তসহ ওই কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওর্যাক এর তথ্য সংগ্রহ করা হলে বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করা হলে। এছাড়াও কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হলে, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার বা নের্টওর্য়াকের উপাত্ত ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করা হলে বা অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি করা হলে, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে বা করার চেষ্টা করা হলে, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করলে , আইনের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো ব্যক্তিতে অবৈধ প্রবেশে সহায়তা করলে, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্য বাজারজাত করলে বা করার চেষ্টা করলে বা অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল পাঠালে, কোনো কম্পিউটার বা সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করে কোন ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বাবদ ধার্য চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করা হলে বা করার চেষ্টা হলে এসব অপরাধ অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।
ইলেকট্রনিক ফরমে মিথ্যা,অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ উদ্দেশ্য উদ্বুদ্ধ হতে পারেন বা যার কারণে মানহানি হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় বা হওয়ার সৃষ্টি হয় বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়া হয়, তবে এ অপরাধ অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রক, সরকারি বা ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একটি সংরক্ষিত সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি ওই সংরক্ষিত কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওর্য়াকে অনুমোদিতভাবে প্রবেশ করেন তা হলে তা আনুমোদিত প্রবেশ হবে একটি অপরাধ।
এছাড়া আইনের ৭৬ (১) ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রক বা তদকতৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ একই সাথে তদন্ত করা যাবে না।