Fa7STfIARq5lyyRwm1KwSOo6ZoI

LIVE NEWS BROADCASTING FROM SSIT-LIFE

|| well come to S S Information Technology || <<< এস এস @ ইনফরমেশন টেকনোলজি: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম | পরম করুনাময় মহান আল্লাহতালার মেহেরবানীতে হযরত শাহ মুখ্দম (রহ ও হযরত শাহ রূপশ (রহ চিরনিদ্রায় শায়িত ভূমি, উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ এর একমাত্র শিক্ষা নগরী রাজশাহীতে ১লা জানুয়ারী ২০০৯ ইং সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিসাইন & ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সিস্টেম সাপোর্ট এবং নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু | সাড়া বিশ্ব যখন যুগ-উপযুগী তথ্য প্রযুক্তির খেলায় মেতে উন্নতির শীর্ষে তখন বাংলাদেশ তথা আমরা সবেমাত্র পুঁথিগত শিক্ষা এবং তার সাইনবোর্ড নিয়ে দিশেহারা | তারই ধারাবাহিকতায় আশির্বাদস্বরূপ যুগ-উপযুগী তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্হা চালু করেছে - এস এস ইনফরমেশন টেকনোলজি >>>

IT NEWS



থ্রিজি-ফোরজি প্রযুক্তি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিশ্ব
বাংলাদেশে প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের সোনার হরিণের নাম তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি থ্রিজি গত বছর ধরে এই নিয়ে দেশে অনেক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে দেশে থ্রিজি সেবা চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ২০০৮ সালে তবে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালু করতে খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয় ২০১২ সাল থেকে একই বছরের ২৮ মার্চ খসড়া থ্রিজি, ফোরজি বা এলটিই রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি মন্ত্রণালয় গত ফেব্রুয়ারিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি সেবা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয় এরপর দফায় দফায় থ্রিজি নিলাম আবেদনের সময় পেছানো হয় অবশেষে গত ১২ আগস্ট দেশের সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটর থ্রিজি নিলামের আবেদন করে বিদেশি কোন অপারেটর এই নিলাম প্রক্রিয়াতে অংশ না নেওয়াতে সিটিসেল বাদে সবগুলো অপারেটরই থ্রিজি লাইসেন্স পাচ্ছে দেশে থ্রিজির সাথেই ফোরজির সুযোগ পেতে যাচ্ছে
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা বা আইটিইউ এর সংজ্ঞানুসারে Application services include wide-area wireless voice telephone, mobile Internet access, video calls and mobile TV, all in a mobile environment. থ্রিজিকে এক কথায় মোবাইল ভিডিওকল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ট্রান্সপোর্টার নেটওয়ার্কও বলা যেতে পারে
থ্রিজি প্রযুক্তির সুবিধা
থ্রিজি প্রযুক্তি কার্যকর থাকলে একটি সাধারণ থ্রিজি সাপোর্টেড মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করা যায়। থ্রিজি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় সুবিধা হল, এই প্রযুক্তি কার্যকর থাকলে মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে ভয়েস সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারী ভৌগোলিকভাবে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। গ্রামের অর্ধশিক্ষিত একজন মানুষ সবসময় সবখানে বসে সারাবিশ্বের সাথে যোগাযোগ এবং সবধরনের তথ্য অতি সহজেই আদান-প্রদান করতে পারে। থ্রিজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টিভি দেখা, খেলা দেখা, ভিডিও ক্লিপস আদান-প্রদান সবই সম্ভব। একজন ব্যবহারকারী থ্রিজি সাপোর্টেড মোবাইল সেটের সাহায্যে ভিডিও কনফারেন্স করতে পারে। বিনোদনের ক্ষেত্রে এটি অদ্বিতীয় ভিডিও, টেলিফোন, পাওয়ারফুল ক্যামেরা, ইমেজ এডিটিং, ব্লগিং, ভিডিও কল, মুভি ট্রান্সফার সবই সম্ভব।
বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
বাংলাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুর্বল নেটওয়ার্কের পরিবর্তে সবল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেশের মানুষ। বিশ্বব্যাংকের দেওয়া হিসাবে ইন্টারনেট সংযোগ ১০ শতাংশ বাড়লে তা দেশের মোট জাতীয় আয় (জিডিপি) বাড়ায় দশমিক শতাংশ। গত ৩০ জুন ২০১৩ পর্যন্ত দেশে মোট মোট ইন্টারনেট গ্রাহক কোটি ৫৬ লাখ ৩১ হাজার ২৬৯ জন। তার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোটি ৩৯ লাখ হাজার ৮৪১ জন। আইএসপি পিএসটিএন ব্যবহার করে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬২ জন এবং ওয়াইম্যাক্স অপারেটরের ইন্টারনেট ব্যবহার করে লাখ হাজার ৮০৮ জন।
বাংলাদেশের মোবাইল কোন জেনারেশনের?
থ্রিজি হচ্ছে এই মোবাইল নেটওয়ার্কের "থার্ড জেনারেশন মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক" বাংলাদেশে আমরা ২০১০ সালেও যে ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি একে অন্তত দশ বছর আগের .৫জি/(জিপিআরএস) বা .৭৫জি নেটওয়ার্ক দাবি করা হয়। সহজে নেটওয়ার্কের এই আপগ্রেডেশনকে এভাবে দেখা যায়, শুরুতে ২জি, .৫জি, .৭৫জি। GR-EDGE নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করে থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করলে মৌলিক যে সুবিধাটি পাওয়া যায় তাহলো স্বল্পমূল্যে/গণতান্ত্রীকমূল্যে দেশের সকল জনগণকে সমান সুবিধা দিয়ে যেকোন অবস্থানে যেকোন নাগরিক হাইস্পিড এবং ম্যাসডাটা ট্রান্সপোর্ট করার সক্ষমতা অর্জন করবে। এটা জনগণের অধিকার, যোগাযোগের জন্য তরঙ্গের উপর থাকা মানুষের জন্মগত সাংবিধানিক অধিকার। থ্রিজি নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করলে একদিকে যেমন বর্তমান মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের সিম ব্যবহারকারীদের নিজেদের এবং অন্যের নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য দেড়গুণ মূল্যে ভিডিও কল করার সুবিধা দিতে পারবে একই সাথে একই সিমে লোকেশনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানক্টিভিটি দিতে পারবে। আজকাল স্যাটালাইট টেলিভিশনে ভারতে সম্প্রতি দেয়া থ্রিজির একটি বিজ্ঞাপনে বলছে "আব কাছুয়া কি চাল ছোর' ২১. এমবিপিএস। ২১. এমবিপিএস! তাহলে থ্রিজিকে উইনিভার্সাল ব্রডব্যান্ড অবকাঠামোও বলা যেতে পারে"
দেশে দেশে থ্রিজি
১৯৭৯ সালে জাপানে ১জি প্রথম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে জেনারেশন প্রযুক্তির যাত্রা শুরু। এরপর ২০০১ সালের মে মাসে জাপান সরকার প্রথম সে দেশে এই ./.৭৫ জি মোবাইল নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করে থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করার অনুমতি দেয়া হয়। পরবর্তী দুই তিন বছরের মধ্যেই ধনী দেশগুলোর সরকারের কাছ থেকে মোবাইল অপারেটরেরা তাদের নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করার অনুমতি লাভ করে যা ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালে এসে . জি বা ইউনিভার্সাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম হাই স্পিড ডাউনলিংক প্যাকেট এ্যাক্সেস' আপগ্রেড করেছে বলে অনেকে দাবি করছে। এছাড়া দুই একটি ধনী দেশ/অঞ্চল/শহর এরই মধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভজি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে। শুধু যে ধনী দেশেগুলিতেই মোবাইল নেটওয়ার্কের এই আাপগ্রেডেশন হচ্ছে তাই নয় থ্রিজিতে আপগ্রেডেশনের এই অনুমোদন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোসহ তৃতীয় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের সরকার ২০০৮ সালের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। যেমন জুলাই, ২০০৮ সালে বার্মায়, মে, ২০০৮ সালে ভুটান, মে, ২০০৭ নেপালে, জানুয়ারি, ২০০৮ পাকিস্তান, ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ মালদ্বীপ, মার্চ, ২০০৮ উগান্ডা, জুন, ২০০৬ শ্রীলংকা, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯ মঙ্গোলিয়া, অক্টোবর, ২০০৯ ভারত উল্লেখযোগ্য।
থ্রিজি বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্রান্সপোর্টের একমাত্র সমাধান
থ্রিজি বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্রান্সপোর্টের একমাত্র সমাধান। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে প্রথমই যে প্রশ্নটা আসে তাহলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। গণ ব্রডব্যান্ড ছাড়া কেউ যদি ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় তবে বুঝতে হবে সে মিথ্যা কথা বলছে। কেননা ডিজিটাল বাংলাদেশে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পরে ব্রডব্যান্ড হবে জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। এবং আমাদের বাস্তবতা হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়া অন্য কোন নেটওয়ার্কে যেকোন লোকেশনে ব্রডব্যান্ড দেয়া আগামী প্রায় ১০০ বছরেও অবাস্তব। জনগণকে এই মুহূর্তে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের জন্য পৃথিবীতে সাধারণত তিন ধরনের অবকাঠামো ব্যবহার হচ্ছে, . অপটিক ফাইবার ক্যাবল, . ওয়াইম্যাক্স, . থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক। এর মধ্যে যদিও থ্রিজি/থার্ড জেনারেশন মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যা ভিডিও কলসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে এর মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিবহনের ক্ষমতা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ কাজ করবে।
বাংলাদেশে থ্রিজি নিলামে তারিখ নিয়ে যত ঘোষণা
বাংলাদেশে ২০০৮ সালে এরিকসন থ্রিজি মোবাইল ফোন সেবার পরীক্ষামূলক নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ওই বছরের ১০ আগস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে এর কার্যকারিতার সফল উদ্বোধন করে। ২০০৮ সালের বিটিআরসি চেয়ারম্যান তৎকালীন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মনজুরুল আলম ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে প্রযুক্তি বাংলাদেশে চালু হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই তিনি বিটিআরসি থেকে বিদায় নেন। এরপর বিটিআরসি এবং ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থ্রিজি চালুর একাধিক সময়সীমা ঘোষণা করে। গত বছর বিটিআরসি থেকে থ্রিজির খসড়া নীতিমালায় সেপ্টেম্বর নিলামের তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু ওই নীতিমালা চূড়ান্ত করতেই প্রস্তাবিত সময় পেরিয়ে যায়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত নীতিমালায় নিলামের তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ২৪ জুন। এরপর সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে প্রথম থ্রিজি চালু করেছে টেলিটক: এখন টার্গেট জেলা শহর
বাংলাদেশে প্রথম পরীক্ষামূলক থ্রিজি নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। গত বছরের ১৪ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টেলিটকের থ্রিজি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৫ সালে শুরু হওয়া টেলিটক এখন পর্যন্ত কোন বড় সাফল্য দেখাতে পারেনি। তবে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর থেকে টেলিটকের ভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে এই নেটওয়ার্কের নানা সুবিধা টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক করছে। পরীক্ষামূলক কয়েকটি বিভাগীয় শহরে চালু করা হয়েছে থ্রিজি সেবা। এবার এই সেবা জেলা শহরে ¤প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আর জন্য কোটি ডলারের একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জেলা শহরের মধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শিগগিরই টেলিটকের থ্রিজি সেবা চালু হচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ ৬টি শহরে থ্রিজি সেবা চালুর পর এবার রাজশাহী, বরিশাল খুলনাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে মোবাইল ফোনে থ্রিজি সেবা চালুর চিন্তা করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। উপলক্ষে তারা 'থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ই৩এন)' শীর্ষক একটি প্রকল্পও হাতে নিচ্ছে। প্রকল্পটির প্রাথমিক প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমানে টেলিটক গ্রাহকদের কাছে ৪৫০ টাকায় তাদের থ্রিজি প্যাকেজ বিক্রি করছে। যার জন্য গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১০০ মিনিট ভয়েস কল, ৫০ মিনিট ভিডিও কল, জিবি ডাটা, ২০০টি এসএমএস এবং ৫০টি এমএমএস ফ্রি। ছাড়া টেলিটক থ্রিজি নেটওয়ার্কে ২৫৬ কেবিপিএস থেকে শুরু করে এমবিপিএস পর্যন্ত গতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে
তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবাদানে অনুমতি পেয়েছে টেলিটক
বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক তৃতীয়বারের মতো থ্রিজি পরীক্ষামূলক সেবাদানে আরও মাসের অনুমতি পেয়েছে। নতুন মেয়াদে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত থ্রিজিসেবার বাণিজ্যিক পরীক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেয়া তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে টেলিটক। থ্রিজি প্রযুক্তি চালু বিদ্যমান টুজি নেটওয়ার্ক ¤প্রসারণের জন্য ২০১০ সালের ডিসেম্বরে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে টেলিটক। ২১ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় টুজি থ্রিজিসেবা ¤প্রসারণ করবে টেলিটক। দেশে কয়েক দফায় বেসরকারি পর্যায়ে থ্রিজি সেবা ¤প্রসারণের জন্য নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা বারবার পিছিয়ে যাওয়াতে টেলিটকেরও পূর্ণাঙ্গ অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে তাদেরকে আবারও সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পরে। এমন পরিস্থিতে সম্প্রতি একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে বরাদ্দ দেয়া থ্রিজির তরঙ্গের মেয়াদ আরো মাস বাড়াতে সম্প্রতি ঘটনা-উত্তর অনুমোদন দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে আগের দেয়া অনুমোদনের সময় শেষ হওয়ার দিন থেকে বর্ধিত সময় কার্যকর হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। হিসাবে আগামী অক্টোবর টেলিটকের অনুমোদনের সময় শেষ হবে। সময়ের মধ্যে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে
মোবাইল অপারেটররা যেভাবে থ্রিজি সেবা দেবে
থ্রিজি মোবাইল ফোনসেবার লাইসেন্সের নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে লাইসেন্স প্রাপ্তির মাসের মধ্যে অপারেটরদের দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে সেবা চালু করতে হবে। নতুন অপারেটরের ক্ষেত্রে সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ১৫ মাস। নিলাম অনুষ্ঠানের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে স্পেকট্রামের ৬০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর নিলাম হলে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আরো এক মাস সময় পাচ্ছে অপারেটররা। মাসের বা ১৫ মাসের ওই সময় গণনা শুরু হবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, অপারেটরদের দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের ৩০ শতাংশ জেলায় সেবা চালু করতে হবে লাইসেন্স পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে। নতুন অপারেটরের জন্য সময় ২৪ মাস। আর তৃতীয় পর্যায়ে দেশের সব জেলায় ৩৬ মাস বা তিন বছরের মধ্যে সেবা চালু করতে হবে। আগ্রহী মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনায় জানা যায়, লাইসেন্স পাওয়ার পরই তারা থ্রিজির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র-সরঞ্জাম আমদানির অনুমতি পাবেন। ক্ষেত্রে ইচ্ছা থাকলেও লাইসেন্স প্রাপ্তির পরপরই সেবা চালু করা সম্ভব হবে না
থ্রিজি নিলামের চূড়ান্ত তারিখ সেপ্টেম্বর
মোবাইল ফোন অপারেটরদের অনুরোধে থ্রিজির স্পেকট্রামের নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নিলামের চূড়ান্ত তারিখ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট অপারেটরদের সঙ্গে নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করবে বিটিআরসি। এছাড়া ২৯ আগস্টের মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি জমা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর এবং সেপ্টেম্বর যোগ্য অপারেটরদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে আগামী সেপ্টেম্বর থ্রিজি নিলামের সময় নির্ধারণ করে আবেদনের জন্য অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
এক নজরে থ্রিজি নিলামের চূড়ান্ত টাইমলাইন
* থ্রিজি নিলাম আবেদনের শেষ সময় ১২ আগস্ট ২০১৩।
* অপারেটরদের আবেদন বাছাই শেষে যোগ্য অপারেটরদের নাম ঘোষণা ১৮ আগস্ট ২০১৩।
* অপারেটরদের সঙ্গে নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক বিটিআরসি ১৯ আগস্ট ২০১৩।
* বিড আর্নেস্ট মানি জমা ২৬ আগস্ট ২০১৩।
* যোগ্য অপারেটরদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
* নিলামের চূড়ান্ত তারিখ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
* নির্বাচিত অপারেটরদের তালিকা প্রকাশ সেপ্টেম্বর ২০১৩
থ্রিজি নিলামে সব অপারেটরের আবেদন: অংশ নিতে পারেনি বিদেশি অপারেটর
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মোবাইল ফোন অপারেটর থ্রিজি নিলাম আবেদন জমা দিয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান থ্রিজি নিলামের বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও শেষ মুহূর্তে আসায় তারা আর আবেদন করতে পারেনি। ১২ আগস্ট সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগে জমা দেয়ার শেষ সময় ঠিক ৫টার কিছু আগেই আবেদন জমা দেয় অপারেটরদের প্রতিনিধিরা। লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগের মহাপরিচালক কে এম শহিদুজ্জামানের কাছে আবেদন জমা দেয়া হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কোম্পানিগুলো হচ্ছে, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল এবং রবি। থ্রিজি নীতিমালায় এক বিদেশি অপারেটরের আসার সুযোগ থাকলেও কোনো বিদেশি অপারেটর আবেদন করেনি। অবশ্য রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটকের আগেই আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদন জমা দেয়ার পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের বলেন, এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রিজি নিলামের প্রস্তুতি শুরু হল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা (থ্রিজি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অপারেটরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। থ্রিজি চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই টেলিটককে লাইসেন্স নিতে হবে। টেলিটকসহ মোট অপারেটর থ্রিজি লাইসেন্স পাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে অপারেটররা
থ্রিজি নিলামে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় হতে পারে
আগামী সেপ্টেম্বর থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সময় সরকারের ঘরে হাজার কোটি টাকা থেকে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও হাজার কোটি টাকার আশা করা হয়েছি ২০১০ সালেই। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে তৎকালীন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বলেছিলেন, "২০১২ সালের জুনে থ্রিজি সেবার নি®পত্তিমূলক প্রক্রিয়া থেকে হাজার কোটি টাকারও বেশী রাজস্ব লাভ করার ব্যাপারে আশা করছি।" ২০১৩ সালে এসে টাকার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে বিটিআরসি। ইতোমধ্যে তরঙ্গ কেনার জন্য ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন, ওরাসকম বাংলালিংক ডিজিটাল, রবি আজিয়াটা, এয়ারটেল প্যাসিফিক টেলিকম আবেদন করেছে। এর বাইরে রাষ্ট্রায়ত্ত¡ টেলিকম কোম্পানি টেলিটকও নিলামে নির্ধারিত দরে তরঙ্গ কিনবে। আগামী সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য নিলামে তরঙ্গ বিক্রি করা হবে। জানা যায়, থ্রিজি মোবাইল ফোন প্রযুক্তির তরঙ্গ বিক্রির ন্যূনতম হাজার কোটি টাকারও বেশি পাবে বিটিআরসি। তবে ধারনা করা হচ্ছে, নিলামে ওই তরঙ্গের মূল্য শেষ পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তথ্য মতে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) তথা সরকার ৪০ মেগাহার্টস তরঙ্গ বিক্রি করবে। একটি অপারেটর সর্বোচ্চ ১০ মেগাহার্টস সর্বনিম্ন মেগাহার্টস তরঙ্গ কিনতে পারবে। প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ফ্লোরপ্রাইস বা ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। সূত্র জানিয়েছে, সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি, ফোরজি এলটিই) রেগুলেটরি লাইসেন্স গাইড লাইন ২০১২ নামে খসড়া নীতিমালায় চারটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। প্রসঙ্গত, ভারতে থ্রিজির নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৪ দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের স্পেকট্রাম চার্জের বাজার মূল্য নিরূপণের বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে থ্রিজি সেবার নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়া থেকে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশী রাজস্ব লাভ করার ব্যাপারে আশা করছে বিটিআরসি
থ্রিজি স্পেকট্রামেই ফোরজি সেবা দিতে পারবে অপারেটররা
থ্রিজি প্রযুক্তির লাইসেন্স প্রাপ্তরা বরাদ্দকৃত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে ফোরজি বা এলটিই প্রযুক্তিতেও সেবা দিতে পারবেন। থ্রিজির লাইসেন্সের পর নতুন করে ফোরজির জন্য নিলাম হবে না। গত ২৫ আগস্ট টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। নীতির আলোকে থ্রিজি প্রযুক্তির জন্য লাইসেন্স প্রাপ্তরা বরাদ্দপ্রাপ্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করেই ফোরজি বা এলটিই প্রযুক্তিতে সেবা দিতে পারবে। জন্য নতুন করে আর নিলাম অনুষ্ঠিত হবে না। থ্রিজির জন্য নির্ধারিত হাজার ১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ছাড়াও টুজির ব্যবহৃত ৯০০ এবং ১৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গও এই সেবার জন্য ব্যবহার উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৮ মার্চ খসড়া থ্রিজি/ফোরজি/এলটিই রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি। মন্ত্রণালয় গত ফেব্রুয়ারিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়
ভাসমান স্বপ্ন ওয়াইম্যাক্স!!
বাকি থাকছে আর একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিবহনের মাধ্যম। তাহলো ওয়াইম্যাক্স। কিন্তু আমরা ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স দেয়ার সময়ই কৃষকে সোনার ডিম দেয়া হাঁসের মত একবারেই জবাই করে সবগুলো সোনার ডিম পাওয়ার লোভে পৃথিবীর সর্বোচ্চ মূল্যে লাইসেন্স বিক্রি করে ওয়াইম্যাক্স অবকাঠামো গড়ে ওঠা অংকুরেই ধ্বংস করেছি যার ফলাফল স্বরূপ গত প্রায় চার বছরেও এই ওয়াইম্যাক্স শুধু ঢাকার মানুষের কাছেই পৌছুতে পারছে না। তাহলে এই ব্রডব্যান্ড পাবনার চাটমোহরে পৌছাতে পুরো একবিংশ শতাব্দী লেগে যাবে! অবশ্য চাটমোহরের মত দরিদ্র এলাকায় এর না যাওয়াই ভালো, মোবাইলই তাদের জন্য যথেষ্ট
ওয়ান টু ফোরজি
প্রথমের হিসাব প্রথমে, জি এর মানে কি? 'জি' মানে জেনারেশন বা প্রজন্ম। মোবাইল প্রযুক্তির প্রজন্ম যা মোবাইল ফোন এবং এর নেটওয়ার্কে ইন্সটল করা হয়ে থাকে। প্রতিটি নতুন 'জি'-এর জন্য আপনাকে নতুন একটি ফোন কিনতে হবে আর নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ব্যয়বহুল আপগ্রেডের। প্রথম দুটির একটি ছিল অ্যানালগ সেল ফোন (ওয়ান জি বা প্রথম প্রজন্ম) এবং অপরটি ডিজিটাল ফোন (টু-জি বা দ্বিতীয় প্রজন্ম) এর জন্য। বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কগুলো এখনও টু-জি, এবং সরকার চিন্তা ভাবনা করছে এক সাথেই থ্রিজি এবং ফোরজি' লাইসেন্স দিয়ে দেবে। কিন্তু প্রযুক্তিগতভাবে টু-জি পর্যন্ত বিষয়গুলো সাদামাটাই ছিল। এর পরে এসেই বিষয়টা একটু জটিলাকার ধারণ করেছে
নাম্বার বেশি হলেই ভালো ফল নয়
সাধারণ একজন মানুষের কাছে থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল প্রযুক্তি রহস্যময় দুটি শব্দ। তবে তারা হয়তো একটি বিষয় চিন্তা করতে পারেন, তাহলো থ্রি আর ফোর এর ভেতর মাত্র পার্থক্য এক। তাহলে আর এতো ঝামেলা কেন! তবে সাধারণ মানুষদেরকেও এর থেকে একটু বুঝতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে বাজারে থ্রিজি এবং ফোরজি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ভরে যাচ্ছে। আপনার যদি এগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারনা না থাকে, তাহলে এগুলো কিনতে গিয়ে শুধু শুধু টাকা নষ্ট হতে পারে। আবার বিদেশ থেকে কেউ দেশে ফিরছেন। তাকে বললেন একটা আধুনিক স্মার্টফোন নিয়ে আসতে। তিনি আপনার জন্য নিয়ে এলেন দেখতে দারুন একটি ফোরজি স্মার্টফোন। তাহলে লাভটি কী হলো। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, নাম্বার বেশি হলেই সব সময় যে ভালো ফল পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়
ফোরজি যে কারণে অর্থহীন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক, অথবা থ্রিজি চালু হয় ২০০৩ সালে। সে সময় এর সুসংগত সর্বনিæ ইন্টারনেটের গতি ছিল ১৪৪ কিলো-বিট/সেকেন্ড। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল এর মধ্যে দিয়েই "মোবাইল ব্রডব্যান্ড" চালু হবে। কিন্তু বর্তমানে নানা ধরনের থ্রিজি চালু রয়েছে। এবং এই "থ্রিজি" সংযোগ মানে ইন্টারনেট গতি ৪০০ কেবিপিএস থেকে এর চাইতে দশ গুণ বেশিও পেতে পারেন। সাধারণত নতুন প্রজন্ম নিয়ে আসে নতুন বেজ প্রযুক্তি, প্রতি ব্যবহারকারী হিসেবে নেটওয়ার্কের আরো বেশি তথ্য ধারণক্ষমতা এবং আরো ভালো ভয়েস পাঠানোর সুবিধা। সে হিসেবে ফোরজি মানে আরো দ্রুত গতি ¤পন্ন বলে অনুমান করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যাপারটা সবসময় এরকম নয়। ফোরজি নামধারী প্রযুক্তির শুধু যে অভাব নেই তা নয়, নানাভাবে এই প্রযুক্তিটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর তাই ফোরজি টার্মটি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্থহীন
ফোরজি প্রযুক্তি বলতে কিছু নেই!!
মান নির্ধারণের সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ), ফোরজি নামকরণের একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি তৈরি করে দেয়ার প্রচেষ্টা করেছে, কিন্তু বারবার তা উপেক্ষা করায় শেষ পর্যন্ত আইটিইউ ফোরজি প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। আইটিইউ বলছে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি বলতে আসলে একক কোনও প্রযুক্তি নেই। তিনটি উপায়ে এই ফোরজি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলো হলো এইচএসপিএ+ ২১/৪২, ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই। যদিও কিছু মানুষ এলটিইকেই শুধু চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি বলে মনে করে থাকেন। আবার কেউ কেউ বলে এদের কেউ চতুর্থ প্রজন্মের যে গতি থাকার কথা তা দিতে সক্ষম নয়
ফোরজি কি আপনার প্রয়োজন?
বাংলাদেশে বাংলালায়ন এবং কিউবী নামের দুটি কো¤পানী ওয়াইম্যাক্স পদ্ধতিতে ফোরজি সেবা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের সেই সেবা এবং দামে কি আপনি সন্তুষ্ট? তাহলে কেন মনে হচ্ছে যে, এলটিই ফোরজি এলেই আমরা বিশাল কিছু পেয়ে যাবো? তবে হ্যাঁ, কিছু পরিবর্তন তো হবেই, তার মূল কারণ হলো এলটিই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার। পৃথিবীতে যেই প্রযুক্তি বেশি মানুষ ব্যবহার করবে, তার দাম ততই কমে যাবে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওয়াইম্যাক্স ক্যারিয়ার প্রিন্ট তাদের ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তিকে পরিত্যাগ করে এলটিই-তে কনভার্ট করে ফেলার কাজে হাত দিয়েছে। সেই হিসাবে, বাংলালায়ন এবং কিউবী যেকোনও সময় আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যাবে। কিন্তু গ্রাহক হিসেবে আপনার সমস্যা কোথায়? আপনাকে আরেকটি থ্রিজি কিংবা ফোরজি মডেম কিনতে হবে, এই যা!
ফোরজি প্রযুক্তির যত নতুন সেবা
ফোরজি প্রযুক্তি মূলত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য আলট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। ফোরজির মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ফিং, ভিডিও কনফারেন্স, গান-ভিডিও ইত্যাদি ডাউনলোড করা সহ ইন্টারনেটে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখা সবকিছুই আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে করা সম্ভব। টু জি এবং থ্রি জির ধারাবাহিকতায় এসেছে এই ফোরজি। আশা করা হচ্ছে থ্রিজি সার্ভিসের চেয়ে ফোরজি পাঁচ গুণ বেশী দ্রুত গতিস¤পন্ন হবে এবং ফোরজির মাধ্যমে হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি এবং ভিডিও কনফারেন্সসহ আরো অনেক চমকপ্রদ সুবিধা পাওয়া যাবে
ভারতে ফোরজি প্রযুক্তি
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফোর-জি প্রযুক্তি চালু হতে শুরু করেছে। দ্রুতগতির যোগাযোগের জন্য সবাই দীর্ঘদিন থেকেই ফোরজির জন্য অপেক্ষা করছে। সম্প্রতি ভারতে এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে। এবং বাংলাদেশও ফোরজি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু ফোরজি প্রযুক্তিতে নতুন কী আছে? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ভারতের ফোরজি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্লেষকগণ ধারণা করছেন গ্রামীণ এলাকাতে ফোরজি সাপোর্ট দেয়ার জন্য যে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, সেটা অনেক বেশী ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। ফলে শহর অঞ্চলে একচেটিয়া ভাবে এই সুবিধা দেয়া হবে। তবে এয়ারটেল টিডি-এলটিই টেকনোলজির সাহায্যে ভবিষ্যতে ব্রডব্যান্ড জগতে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করছেন ভারতের বিশ্লেষকগণ। ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান জানান, তারা ইতোমধ্যে কলকাতায় ফোরজি টেকনোলজি সেবা দিতে শুরু করেছেন। এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে কর্ণাটক,পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও এই সুবিধা দেয়া হবে। চেয়ারম্যান আরও জানান, মাসেই ব্যাঙ্গালোরে ফোরজি এলটিই সার্ভিস দেয়া হবে এবং তারপরেই কাজ শুরু হবে পুনে এবং চণ্ডীগড়ে। এয়ারটেল এবং অন্যান্য মোবাইল অপারেটরগুলো ফোর জির জন্য সর্বমোট ৩৮,৫৪৩ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে জানা যায়। এয়ারটেল- সর্বপ্রথম ভারতে ফোরজি সেবা চালু করেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফোরজি প্রযুক্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পুরো দেশ জুড়ে কে কার আগে চতুর্থ প্রজন্মের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে পারে সে নিয়ে বেশ যুদ্ধ শুরু করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেরাইজন ফোরজি এলটিইর বিস্তৃতির এক আক্রমণাÍ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ভেরাইজন তাদের এই পরিকল্পনা এটিঅ্যান্ডটির ফোরজি ¤প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণার মাত্র দুদিন পর প্রকাশ করেছে। বছরের শেষ নাগাদ ভেরাইজন ফোরজি এলটিইর বিস্তৃতি দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে। অবশ্য এই মুহূর্তে ভেরাইজন দেশটির প্রায় ২০০ টি বাজার (এলাকা) পরিচালনা করছে, সেখানে এটিঅ্যান্ডটি গ্রীষ্মের মধ্যে ৪০ টি বাজারের নাগাল পাবার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে ভেরাইজনের লক্ষ্য ২০১২ সালের মধ্যে ৪০০ টি বাজার দখল করা। সারা দেশ জুড়ে ২৬০ মিলিয়ন আমেরিকাবাসীকে ফোরজি সুবিধা প্রদান করতে সমর্থ হবে তারা। এছাড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ডেভিড স্মল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফোরজির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে ২০১২ সালের বাকিটা সময় তারা শুধুমাত্র চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক উপযুক্ত স্মার্টফোনগুলোই তারা বের করবে। যদিও ২০১১ সালের শেষ প্রান্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সকল স্মার্টফোন বের হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশই ফোরজি প্রযুক্তি নির্ভর। কিন্তু, তা স্বত্বেও ভেরাইজন মাত্র % গ্রাহককে তাদের চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ফোরজি সুবিধা যুক্ত স্মার্টফোনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের হারও বৃদ্ধি পাবার আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া, আই ফোনের নতুন সংস্করণ বের হবার যে গুজব রয়েছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে এই ভেরাইজনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে




ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ফেসবুক:

অনুমতি ছাড়া গ্রাহকদের নাম ছবি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করায় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক বুধবার বিবিসি একটি প্রতিবেদনে তথ্য জানান হয়েছে
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনেক আগ থেকেই তাদের বিজ্ঞাপনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছবি নাম ব্যবহার করে আসছে। গ্রাহকদের অনুমতি ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করছে। ২০১১ সালে ফেসবুক ব্যবহারকারী জন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। এরই ফলশ্রুতিতে গত সোমবার আদালত ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়
ফেসবুক তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের লক্ষ্যে প্রায় ১৫ কোটি গ্রাহকের নাম ছবি প্রকাশ করে। ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের ব্যাপারে অনুমতি নেওয়ার জন্য ইমেইল বার্তা পাঠায়। চলতি বছরের শুরুতে যারা ধরনের তথ্য প্রকাশের বিরোধিতা করে ফিরতি বার্তা পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র সে সকল গ্রাহককেই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ
মামলার প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় দেন দেশটির আদালত। এর মধ্যে প্রায় লাখ ১৪ হাজার গ্রাহককে দেয়া হবে ১৫ ডলার করে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা সংরক্ষণকারী সংস্থাগুলোকেও দেওয়া হবে বলে রায়ে জানানো হয়

ফেসবুকে ছয় ধরনের পোস্টে ক্লিক নয়:

বন্ধুর পোস্ট করা সুন্দরী একটি মেয়ের ছবি বা ভিডিও ফেসবুক টাইমলাইনে আসার পর সে লিংকটিতে ক্লিক করে বিপদে পড়ে গেছেন অনেকেই লাইক দেওয়া ছবিটির যন্ত্রণায় অস্থির অন্য বন্ধুরা যন্ত্রণার নাম ফেসবুক স্প্যাম
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ফেসবুকের পাতাভর্তি বন্ধুদের নানা পোস্ট হয়তো আপনাকে খুশি করছে বা লাইক দিতে বাধ্য করছে। কিন্তু পোস্টগুলোর মধ্যে অনেকগুলো দুর্বৃত্তদের নকশা করা ম্যালওয়্যারও হতে পারে। এসব স্ক্যাম আপনার ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে বা আপনাকে বেকায়দায় ফেলার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারে। ফেসবুকে অসংখ্য এরকম পোস্ট রয়েছে যার মধ্যে কোনোটিতে শিশুর জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়েছে, কোনোটিতে অর্থ আয়ের প্রলোভন দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি কম্পিউটার নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতা ইসেটের গবেষকেরা ছয় ধরনের ফেসবুক পোস্ট এড়িয়ে চলার জন্য ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন
কখনও তারকা গুজব পোস্টে ক্লিক নয়
ফেসবুকে তারকাদের নিয়ে বা সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুজব নিয়ে চটকদার খবরের পোস্ট পাওয়া যায়। অনেক সময় ধরনের খবরকেব্রেকিং নিউজ’, ‘গোপন খবর’, ‘গোমর ফাঁস’ ‘তথ্য ফাঁস’ ‘আড়ালের খবরইত্যাদি নামে পরিবেশন করা হয়
ব্রেকিং নিউজ
ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ফেসবুকে অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ম্যালওয়্যারভর্তি খবর প্রকাশ করে দুর্বৃত্তরা। ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে গুগলে সার্চ করে দেখা ভালো। ফেসবুকের পোস্ট করা লিংকে ক্লিক করলে তাতে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে
লাইক চাওয়া পোস্টগুলোতে লাইক নয়
ফেসবুকে চটকদার পোস্ট দিয়ে তাতে অধিকাংশ সময় লাইক চাওয়া হয়। ইসেটের বিশ্লেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, যেপোস্টগুলোতে লাইক চাওয়া হয় সে পোস্টগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। ফেসবুকের নতুন গ্রাফ সার্চের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি লগ থেকে অজানা বা অচেনা কোনো প্রতিষ্ঠান, পণ্য বা সাইটে আপনি লাইক দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করে নিন। ধরনের পোস্ট ম্যালওয়্যারের খনি হতে পারে
খাবারের পরামর্শ বিষয়ক পোস্ট থেকে সাবধান
অনেক সময় ফেসবুক টাইমলাইনে ওজন কমানোর পরামর্শ বিষয়ক পোস্ট এসে ভরে যায়। চমত্কার চটকদার ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়ার কথা বলা হয় এসব পোস্টে। ধরনের পোস্টের মাধ্যমে স্ক্যাম ছড়ায় দুর্বৃত্তরা। অজানা, অচেনা উত্স থেকে আসা ধরনের পরামর্শগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন
ভুয়া নিউজ সাইটের লিংক
ফেসবুকে অজানা-অচেনা উত্স থেকে নানা গুজব, চটকদার খবর প্রকাশ করা হয়। খবরের যে উত্সগুলো আপনার পরিচিত নয় সে সাইটগুলোর খবরে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আসল খবরের আদলে সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে ভুয়া নিউজের লিংক পোস্ট করে তাদের উদ্দেশ্য সফল করে
ফেসবুকের গিফট কার্ড
আপনি ফেসবুকে লটারি জিতেছেন বা কোনো উপহার জিতেছেন বলে টাইমলাইনে পোস্ট দেখাতে পারে। বিনামূল্যে উপহারের নমুনা দেখিয়ে সে লিংকটিতে ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ফেসবুকের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া স্ক্যামগুলোর একটি এই গিফট কার্ড স্ক্যাম। ধরনের লিংকে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। এসব তথ্য দেওয়া হলেও কোনো উপহার পাওয়া যায় না বরং কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হওয়ার ঝুঁকি থাকে