১২
ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য
চেয়ে
বাংলাদেশ সরকারের আবেদন
নাকচ
করেছে
ফেসবুক
কর্তৃপক্ষ। তবে কেন
নাকচ
করা
হলো
সে
বিষয়ে
কোন
ব্যাখ্যা দেননি
তারা। জানুয়ারি থেকে
জুন
পর্যন্ত সময়ে
ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য
চেয়ে
চলতি
বছর
মোট
৭৪টি
দেশের
সরকার
৩৮
হাজার
অনুরোধ
জানায়।
সবচেয়ে
বেশি
অনুরোধ
জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকারও
ফেসবুক
কর্তৃপক্ষের কাছে
তথ্য
চেয়ে
অনুরোধ
জানিয়েছে। বিভিন্ন দেশের
সরকারের কাছ
থেকে
পাওয়া
এ
ধরনের
অনুরোধ
নিয়ে
এক
প্রতিবেদনে এ
তথ্য
জানিয়েছে ফেসবুক
কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকার
কাদের
সম্পর্কে তথ্য
চেয়েছে
সে
বিষয়ে
কিছু
বলা
হয়নি
‘গ্লোবাল গভার্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ শীর্ষক
ওই
প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত,
জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের
পক্ষ
থেকে
ফেসবুক
ব্যবহারকারীর তথ্য
চেয়ে
করা
অনুরোধ
৮০
শতাংশ
ক্ষেত্রে পূরণ
করা
হয়েছে
বলে
জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ফেসবুক,
গুগলসহ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্যের
ওপর
সরকারের গভীর
নজরদারির বিষয়টি
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা
সিআইএ’র সাবেক কর্মী
এডোয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস
করে
দেয়ার
পর
প্রথমবারের মতো
এই
প্রতিবেদন প্রকাশ
করলো
ফেসবুক। সারা
বিশ্বে
ফেসবুক
ব্যবহারকারীর সংখ্যা
১০০
কোটিরও
বেশি।
ফেসবুক
কর্তৃপক্ষে বলছে,
তারা
বিভিন্ন সরকারের কাছ
থেকে
তথ্য
চেয়ে
করা
প্রতিটি অনুরোধ
আলাদাভাবে পরীক্ষা করে
দেখেছে
এবং
তথ্য
প্রকাশের ক্ষেত্রে দেশগুলোর আইনি
বাধ্যবাধকতার বিষয়টি
বিবেচনা করে
ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুকের আইনজীবী কলিন
স্ট্রেচ বলেন,
অনেক
অনুরোধের ক্ষেত্রে আমরা
লড়াই
করেছি।
আইনি
দুর্বলতাগুলো খতিয়ে
দেখে
অনেক
অনুরোধ
ফিরিয়ে
দিয়েছি।
আর
যেসব
তথ্য
আমাদের
দিতে
হয়েছে
সেসব
ক্ষেত্রে আমরা
কেবল
ব্যবহারকারীর সাধারণ
তথ্যগুলোই দেয়ার
চেষ্টা
করেছি।
এখন
থেকে
ফেসবুক
নিয়মিত
এ
ধরনের
প্রতিবেদন প্রকাশ
করবে
বলে
জানান
তিনি।
অবশ্য
গুগল,
টুইটারসহ আরও
কিছু
কোম্পানি আগে
থেকেই
এ
ধরনের
প্রতিবেদন প্রকাশ
করে
আসছে।
এদিকে
ফেসবুকসহ তথ্য
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে
বাংলাদেশ সামপ্রতিক সময়ে
‘দৃঢ়’
অবস্থান নিয়েছে। চলতি
মাসে
তথ্যপ্রযুক্তি আইন
সংশোধন
করে
সর্বোচ্চ সাজা
১০
বছরের
বদলে
১৪
বছর
করা
হয়েছে।
এছাড়া
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি
ছাড়াই
গ্রেপ্তারের ক্ষমতা
দেয়া
হয়েছে
পুলিশকে, যার
সমালোচনা করেছে
বিভিন্ন মহল।
বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর ‘মৃত্যু
কামনায়’
প্রবাসী এক
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কারাদণ্ড হয়েছে
আদালত
অবমাননার দায়ে।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীকে ‘হুমকি
দেয়ার’
অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
শিক্ষকের সাত
বছর
কারাদণ্ড দেয়া
হয়েছে।
এর
আগে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে
ব্যঙ্গাত্মক প্রচারের পটভূমিতে বর্তমান সরকারের আমলেই
বাংলাদেশে কয়েকদিন ফেসবুক
বন্ধ
রাখা
হয়।